এইচ এম সাগর (হিরামন) খুলনা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজ বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের বাহন যে নির্বাচন,সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। যেটা অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের একটা অংশ। গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্যই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অনুগতদের বসানো হয়েছে, যাতে নির্বাচনে জেতা যায় জনগণের ভোট ছাড়া। কিন্তু বার বার এটা হতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয় চত্বরে সাবেক শহীদ  রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এ সভার আয়োজন করে। নজরুল ইসলাম খান বলেন,আমরা সেই দল করি, যে দল কখনো গণতন্ত্র হরণ করেনি। বরং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা কখনো সামরিক শাসন বা জরুরি অবস্থা জারি করি নাই, বরং প্রত্যাহার করেছি। তিনি আরও বলেন, সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে দেশের এই সংকট মুহূর্তে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। ক্ষমতাসীন সরকারের এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেই আমরা ঘরে ফিরবো। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান। খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সভায় মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু, বিএমএর সাবেক মহাসচিব ডা. গাজী আব্দুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর বারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী জুলু, স. ম. আব্দুর রহমান, সাইফুল আলম মিন্টু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শের আলম শান্টু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ,বদরুল আলম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু,শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন,একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু,মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, মোস্তফাউল বারী লাভলু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল,অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, ডা. আব্দুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান, ওহিদুর রহমান দিপু, ওহিদ হালিম ইমরান, তানভীরুল আজম, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, শাহিনুল ইসলাম পাখি, অসীত কুমার সাহা, রুবায়েত হোসেন বাবু, শাকিল আহমেদ দিলু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াছ হোসেন মল্লিক, শেখ আসগার আলী, কে. এম. হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মো. হাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, আজিজা খানম এলিজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।