সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে এদের আটক করা হয়।

চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহআলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শাহদৌলতপুর গ্রামে ও তার সহযোগি লিওন সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে। আর ওই নারীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে বলে জানাগেছে।

সোমবার বিকালে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া ওই নারীর নাম উম্মে সাইয়েদা (২৩)। সে চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহ আলমের স্ত্রী। বিগত ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয়েছে এমনটি দাবী করেছেন ওই প্রকৌশলী।

(ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোরে দাফন করার জন্য গাজীপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে আনা হয় ওই নারীর মরদেহ। এর আগে রাতেই কবর খুড়ে রাখা হয়।

পরে কবর দিতে গেলে কবর স্থানের রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান ওই মৃত নারীর আইডি কার্ড অনুযায়ী পরিচয় জানতে চায়। এসময় পরিচয় দিতে অস্বকৃতি জানায় রেলওয়ে অফিসার শাহ আলম ও তার সহযোগী লিওন সাহা। তারা কবর থেকে দ্রুত মরদেহ উত্তোলন করে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই জনকে থানায় নিয়ে যায় এবং মরদেহের ময়না তদন্ত করতে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আরো জানান, ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহ আলমের (৪৭) সাথে কথা হলে তিনি জানান, লিওন সাহা নামে একটি ছেলের মাধ্যেমে তিনি উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামে ওই নারীকে ১১ দিন আগে বিয়ে করেন। দুই দিন আগে  হঠাৎ করে তার মৃত্যু হয়। আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে এ বিষয়টি লুকানোর জন্য তিনি তার সহযোগী লিওনের মাধ্যমে মরদেহ দাফনের জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে আসেন।